ডেমরার মাতুয়াইলে পাশা টাওয়ারে লাগা আগুন ১০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে আগুনে তিন তলা থেকে নয় তলা পর্যন্ত পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) রাত ২টা ১৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এতে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিটের ১৫০ জন ফাইটার কাজ করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা মাহফুজ রিবেন আগুন নিয়ন্ত্রণের কথা নিশ্চিত বলেন, রাত দুটায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। তিনি জানান, ভবনের ছয় তলাতে লাগা আগুনে তিন তলা থেকে নয় তলা পর্যন্ত পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের মহা-পরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পুরো ভবনটি করা হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। আশেপাশে কোনো জায়গা ছাড়া হয়নি। ১০তলা ভবনটির প্রায় পুরোটাতেই পদার্থ ভরপুর ছিল। আগুন নেভানোর জন্য কাজ করার কোনো পরিবেশ নেই। একটি মাত্র সরু রাস্তা। সেই রাস্তার দুই দিকে খাল। ঝুঁকিপূর্ণভাবে ল্যাডার লাগিয়ে ক্রেন উঠানো হয়েছে। ক্রেন ঘুরিয়ে কাজ করা যাচ্ছে না। ক্রেন ছাড়া অন্য কিছু এখানে ব্যবহারও করা যাচ্ছে না। যার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে।
ভবন মালিক জানিয়েছেন, চায়না থেকে আমদানিকৃত এলইডি লাইট গুদামে রাখা ছিল। সেখানে প্রায় ২০০ কোটি টাকার মালামাল ছিল। যার সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এবং ভবন নির্মাণে তার অন্তত ১৫ কোটি টাকার মত খরচ হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, ভবনটির ষষ্ঠতলা এনার্জি লাইটের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সেখান থেকেই মূলত অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। তবে সেটা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হয়েহে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকায় মুহূর্তেই আগুন অন্যান্য ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, ডেমরার পাশা টাওয়ারে লাইটের গুদামে (৫ অক্টোবর) বিকেল পাঁচটার দিকে ৬ তলায় আগুন লাগে। এক পর্যায়ে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় তা ওপরের ১০ তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।