ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিই এখন লক্ষ্য বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সঠিক পথেই আছে বলে মনে করেন তিনি। যদিও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী মনে করেন, আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছেনা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ।
সৌরভে গৌরবে শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য আর গণতন্ত্রের সুতি-গাথার দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের ১০০ বছর উদযাপনে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। ২১ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ছয়টি আন্তর্জাতিক সেমিনার। যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডনে হবে আরও সাতটি সেমিনারে। সাবেক শিক্ষার্থী ও গবেষকদের সঙ্গে অংশ নেবেন রানী অ্যানি এলিজাবেথ।
পহেলা জুলাই, শতবর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানো ও গবেষণায় উন্নতির ক্ষেত্রে তাদের চেষ্টার কমতি নেই। একই সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য টিএসসিতে বহুতল ভবন নির্মাণসহ একটি মাস্টার প্ল্যান হাতে নেয়া হয়েছে। আর টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী দক্ষ মানব তৈরির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা হবে।
শতবর্ষ উপলক্ষে দু’টি মৌলিক বই প্রকাশ করা হবে। যার একটির লেখক সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ১৯২১ সালে ইন্ডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে অবস্থানে ছিল; আজকে আমরা সে অবস্থানে আছি কি-না? সেখানে বলতে হবে আমরা অনেক দূরে সরে গেছি।
১৯২১ সালের পহেলা জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী ও দুই হাজার শিক্ষক রয়েছেন।