পিলখানায় বিজিবি (সাবেক বিডিআর) সদরদপ্তরে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ মামলায় সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদসহ চারজনকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
সোমবার ঢাকার বকশীবাজার এলাকায় কেন্দ্রীয় কারাগার ও নবকুমার ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ সমন জারি করেন। আগামী ৪ জুলাই তাদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপর তিনজন হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদিন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বর্তমানে মরক্কোর রাষ্ট্রদূত নূর মোহাম্মদ এবং লে. কর্নেল জাহান আরা বেগম।
সমন জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার ইফতেখার আহমেদ।
সোমবার আদালতে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বিডিআর বিদ্রোহে নিহত ঢাকা সেক্টরের কমান্ডার মজিবুল হকের স্ত্রী মেহেরীন ফেরদৌস, লে. কর্নেল শামসুল আজমের স্ত্রী মুনমুন আক্তার, বিডিআর হাসপাতালের সেবিকা সেলিনা সুলতানা, আকলিমা আক্তার ও সাবিনা ইয়াসমিন। এছাড়া মামলার সোমবারের ১০ম সাক্ষী ডা. স্নিগ্ধা সরকারের জবানবন্দী শেষে জেরা চলছে।
বিডিআর মামলায় এ পর্যন্ত ২৬৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। ২৭০তম সাক্ষী হিসাবে ডা. স্নিগ্ধা সরকার সাক্ষ্য দেন।
গত বছরের ১২ জুলাই হত্যা মামলায় ও ২৭ জুলাই বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ।
হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৮৫৬ জন। আসামিদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন এবং ২০ জন পলাতক, চারজন জামিনে আছেন।
মামলাটি তদন্তের সময়ই মারা যান বিডিআরের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) রহিম ও হাবিলদার শফিকুল ইসলাম এবং অভিযোগ শুনানি চলাকালে গত ১৫ মে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যান আসামি হাবিলদার মতিউর রহমান।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদরদপ্তরে সাবেক বিডিআরের জওয়ানরা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশের পরিদর্শক নবজ্যোতি খীসা প্রথমে লালবাগ থানায় এবং পরে নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, রমজান খান ফারুক আহমেদ, শামীম সরদারসহ প্রমুখ সাক্ষীদের জেরা করেন।