সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলোতে সহকারী শিক্ষক পদে অপেক্ষমান তালিকা থেকে নিয়োগ দেয়া হবে না। ২ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলছে অনশন। এর আগে সভা, সমাবেশ. মিছিল, সরকারের বিভিন্ন মহলে এমনকি প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। তারা সবাই ২০১৮ সালের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে অপেক্ষমান তালিকায় ছিলেন।
অপেক্ষমান তালিকা থেকে নিয়োগ দেয়া হবে না প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একথা একাধিকবার বলা হলেও, ২০১৮ সালের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অপেক্ষমানরা নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাদের যুক্তি, যোগ্যতা থাকার পরও তাদের নিয়োগ না দিয়ে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কোনো মানে নেই।
কিন্তু তা উপেক্ষা করে এবছর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, অযথা নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে তাদের মধ্য থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যেত।
২০১৮ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত পর্বে উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন। তাদের মধ্যে ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা হয়। তাদের মধ্যে মাত্র সাড়ে তিন হাজার কাজে যোগ দিতে পেরেছেন।
কিন্তু অপেক্ষমান তালিকা থেকে কোনভাবেই নিয়োগ নেবে না সরকার। এটা একাধিকবার গণমাধ্যমের সামনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তি আকারে ঘোষণাও করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, আমাদের শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখানে কোথাও বলা নাই যে তারা প্যানেলভুক্ত বা পোলের। তারা যোগ্য হলে অবশ্যই তাদের নিয়োগ দেয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ের সাফ কথা, নিয়োগ পাবার একমাত্র মাপকাঠি, যোগ্যতা এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ। অন্য কিছু না।