প্রথমার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা মেলে এক গোল পেল ম্যানচেস্টার সিটি। দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্য করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারছিল না তারা। শেষ দিকে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করলেন বদলি নামা গাব্রিয়েল জেসুস; দারুণ শটে জালের দেখা পেলেন জোয়াও কানসেলো। অলিম্পিয়াকোসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয়ের ধারা ধরে রাখল পেপ গার্দিওলার দল। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-০ গোলে জেতা সিটি টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে।
ম্যাচের ১২ মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোল তুলে নেয় সিটি। সতীর্থের ছোট পাস এক ডিফেন্ডারের পা হয়ে পেয়ে যান তরেস। কেভিন ডে ব্রুইনের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করে নিখুঁত শটে গোলকিপারের পায়ের ফাঁক দিয়ে জাল খুঁজে নেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। বলের নিয়ন্ত্রণে ও আক্রমণে আধিপত্য করলেও ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারছিল না ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি। ২৭তম মিনিটে রাহিম স্টার্লিং গোলরক্ষক বরাবর শট নেন। ৩২তম মিনিটে এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড জালের দেখা পেলেও ছিলেন অফসাইডে।
৫৪তম মিনিটে হাস্যকর ভুলে গোল হজম করতে বসেছিল সিটি। গোলরক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া বল ব্যাকপাসে ফিল ফোডেন জন স্টোনসকে দিতে গিয়ে তুলে দিয়েছিলেন মাথিউ ভালবুয়েনার পায়ে। কিন্তু ছয় গজে দূর থেকে ফরাসি এই মিডফিল্ডার লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ।
সমতায় ফিরতে মরিয়া অলিম্পিয়াকোস একটু একটু করে সিটির রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে। ৬২তম মিনিটে ইউসেফ এল আরাবির শট ফেরান এডেরসন। ৬৯তম মিনিটে মাহরেজ ও ফোডেনকে তুলে নিয়ে জেসুস ও রদ্রিগোকে নামান সিটি কোচ। একটু পর গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণের ভালো সুযোগ নষ্ট করেন ডে ব্রুইনে।
৮১তম মিনিটে ডে ব্রুইনের বাড়ানো বল ধরে কাছের পোস্ট দিয়ে বুলেট গতির শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জেসুস। নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষের আগ মুহূর্তে ডি-বক্সের বাইরে থেকে কানসেলোর শট জালে জড়ালে জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় প্রিমিয়ার লিগের ২০১৮-১৯ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নদের।