করোনাভাইরাসে আক্রান্তের শঙ্কায় বেশ কিছুদিন ধরে ছিলেন আইসোলেশনে। এর মধ্যে হঠাৎ করেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা।
দক্ষিণ বুয়েন্স আয়ার্সের লা প্লাতার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়েছে ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিওপোলদো লুকে। জানিয়েছেন, কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ম্যারাডোনাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
“জটিল কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এ ছাড়া আমরা জরুরি ভিত্তিতেও হাসপাতালে আসিনি।”
গত শুক্রবার ৬০তম জন্মদিন পালন করা ম্যারাডোনার শারীরিক পরিস্থিতির বিস্তারিত জানাননি লুকে। কেবল বলেছেন, অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো লাগবে আর্জেন্টিনা দলের সাবেক অধিনায়ক ও কোচের।
“তিনি বয়স্ক একজন রোগী; তার জীবনে অনেক চাপ। এটা এমন একটি সময়, তাকে অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে আমাদের। কেননা, ম্যারাডোনা হওয়াটা খুবই কঠিন।”
তবে ম্যারাডোনার বর্তমান শারীরিক জটিলতার সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কি-না এ ব্যাপারেও কিছু জানাননি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান ও অগোছালো জীবনযাপনের অতীত, স্থূলতা এবং বয়স বিবেচনায় কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন ফুটবলের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র।
এ ছাড়া দুইবার হার্ট-অ্যাটাকেও ভুগেছেন ম্যারাডোনা। সেই সঙ্গে হেপাটাইটিসেও ভুগছেন তিনি।
ম্যারাডোনা ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন লুকে- “দিয়েগো ভালো আছেন। তবে তার শারীরিক পরিস্থিতির আরও বেশি উন্নতি হতে পারে। আমি তাকে যেভাবে দেখতে চেয়েছিলাম সেভাবে পাইনি। আমি তার সঙ্গে আগে কথা হয়। তাকে বলি, ‘চলুন না ক্লিনিকে, শরীরে আরও উন্নতি আনা যায় কি-না।’ তখন তিনি বলেন, ‘বেশ, চলুন’।”