প্রতিযোগিতা আইনে ভোক্তারাও সমানভাবে লাভবান হবেন- আইনমন্ত্রী

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, “প্রতিযাগিতা আইন ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসা পরিচালনায় দারুনভাবে উপকৃত করবে। সেই সঙ্গে ভোক্তারাও সমানভাবে লাভবান হবেন।”

তিনি রোববার রাতে হোটেল রূপসী বাংলায় ইনস্টিটিউট অব পলেসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (আই-প্যাগ) আয়োজিত এক সংলাপে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, “সুষম প্রতিযোগিতা নিশ্চিতকরণ ও ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্যই সরকার এ আইনটি তৈরি করেছে। সরকার সবসময় মানুষের জন্যই নিবেদিত হয়ে কাজ করে। এ আইন সুলভ মূল্যে উন্নতমানের পণ্য পাওয়া এবং ভোক্তাদের জন্য পণ্যকে সহজতর  করে তুলবে।”

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, “যে আইন পাশ করা হয়েছে, এটা নিঃসন্দেহে মানুষের উপকারের কথা বিবেচনা করেই করা হয়েছে। এ আইন উৎপাদক ও রফতানিকারকদের বিশেষভাবে অনুপ্রেরণা যোগাবে। এ ছাড়াও এ আইনের মাধ্যমে পণ্যের বিপণন এবং বণ্টনে আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকবে। ”

আই-প্যাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ মুনীর খসরুর সঞ্চালনায় সংলাপে অংশ নেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উইলিয়াম কভাচিচ, পাকিস্তানের প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান রাহাত কাজনাইন হাসান, ভারতের কিউটস ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব প্রদীপ মেহতা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, “প্রতিযোগিতা আইন সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে যে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেন, তাদের অপচেষ্টায় বাধা দেবে। একইসঙ্গে এ আইনের মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের স্বার্থও সংরক্ষিত হবে।”

রাজনীতি