করের আওতা ও ভিত্তি সম্প্রসারণে প্রস্তাবিত ‘মূল্য সংযোজন কর (সংশোধিত) আইন (মূসক)- ২০১২’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার মন্ত্রিসভায় উঠছে।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নীতিগত অনুমোদনের পর আইনটির খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের লক্ষ্যে ভেটিংয়ের জন্য আইনমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ভেটিং শেষে এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১২ মার্চ করের আওতা ও ভিত্তি সম্প্রসারণ করে মূসক আইন-২০১২ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
সংশোধিত এই আইনে একক হিসাব পদ্ধতি চালু, লেনদেনের ভিত্তিতে মূসক আদায় ও লেনদেনের ক্ষেত্রে ইনভয়েস (মূল্যসহ বিক্রিত পণ্যের তালিকা) বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে। মাসিক রিটার্নের ভিত্তিতে কর আদায় করার বিধান রাখা হয়েছে সংশোধিত প্রস্তাবে।
ভাল করদাতাদের উৎসাহী করতে পুরস্কার প্রবর্তন এবং সংশোধিত আইনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগও রাখা হয়েছে।
আইনটিতে করদাতা বান্ধব ও রাজস্ব বৃদ্ধি সহায়ক করে সংশোধনী আনা হয়েছে। করদাতারা যেন স্বেচ্ছায় কর দিতে উৎসাহী হন সেদিকে লক্ষ্য রেখে আইনটি সংশোন করা হয়েছে।
কর সংহতি বাড়ানো, কর পরিবেশ সংস্করণ, করবান্ধব পরিবেশ তৈরিসহ আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুসরণ করা হয়েছে এ আইনে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মূসক (সংশোধিত) আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উঠলে তা যাচাই-বাছাই ও পর্যবেক্ষণ করে মন্ত্রিসভায় পুনরায় উত্থাপনের জন্য বলা হয়।
ওই দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানিয়েছিলেন, ১৯৯১ সালের মূসক আইন পরবর্তীতে বিচ্ছিন্নভাবে সংশোধনী আনা হয়। তাই যুগের সঙ্গে চাহিদা মাথায় রেখে সংশোধনীগুলোর অসংগতি দূর করতে নতুন একটি আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর এ কারণেই আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার।
মন্ত্রিসভার পরামর্শে এ আইনটি সংশোধনে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিলো। পর্যক্ষেণ ও যাচাই-বাছাই কমিটির প্রতিবেদনের পর গত ১২ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মঙ্গলাবার চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় এই আইনটির খসড়া তোলা হবে।