করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। রবিবার মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে বৈঠকের পর টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জরুরি অবস্থার সঙ্গে কারফিউও জারি করা হয়েছে। তবে একমাত্র ক্যানারি আইল্যান্ডকে এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে। নতুন করে জারি করা এই জরুরি অবস্থা আগামী বছরের মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন সানচেজ।
টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পরিস্থিতি চরম পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে।’
দেশজুড়ে ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা এবং কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে পার্লামেন্টে এই সময় বাড়িয়ে ছয় মাস করার প্রস্তাব তুলবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সানচেজ।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। অপরদিকে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনার প্রথম ধাক্কায় ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি হচ্ছে স্পেন। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্পেনকে প্রথম থেকেই কঠোর লকডাউন জারি করতে হয়েছে যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি ছিল।
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো স্পেনেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ফলে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করতে বাধ্য হয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যে রাত্রিকালীন কারফিউয়ের সময় একঘন্টা বাড়ানো বা কমানোর সুযোগ থাকছে।
এছাড়া জনসাধারণের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যাতায়াতের বিষয়ে আঞ্চলিক নেতাদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। নতুন বিধি-নিষেধের কারণে গণজমায়েত বা ব্যক্তিগত সাক্ষাতেও কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ছয়জন একসঙ্গে সমবেত হতে পারবেন।
স্পেনের অর্ধেকের বেশি রাজ্যেই কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। একই ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল গত এপ্রিলে যখন করোনার প্রথম প্রাদুর্ভাব শুরু হয় তখন। দেশটিতে ইতোমধ্যেই সংক্রমণ ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। অপরদিকে মারা গেছে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ।