আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানবিক কারণে খালেদা জিয়া জামিনে মুক্ত আছেন। এটি বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়। বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক তর্জন-গর্জনই সার।
আজ শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির পুনর্র্নিবাচনের দাবি অযৌক্তিক। নির্বাচন এলেই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করতে তাদের অপতৎপরতা শুরু হয়। তারা সবসময় নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। যে কোনো গুজবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে সরকার। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকরা যাতে অপপ্রচারের শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ধর্ষণ-নারী নির্যাতনের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের প্রধানমন্ত্রী ছাড় দেননি। কোনো আপস করা হয়নি। করোনার কারণে পারিবারিক সহিংসতা, সামাজিক অবক্ষয় বেড়েছে।
বাজারে সিন্ডিকেট আছে, তবে সিন্ডিকেট মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ নয় বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনাকালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। আগামী মাস থেকে দলীয় কর্মকাণ্ড পূর্ণ উদ্যমে শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
আগামী ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সাড়ে ৩টায় স্বল্প পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি আলোচনায় অংশ নেবেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।