‘সরকারের আনুগত্যের মানে দলবাজি নয়’

‘সরকারের আনুগত্যের মানে দলবাজি নয়’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেনাবাহিনীতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ‘দেশ, সংবিধান ও সরকারের’ প্রতি আনুগত্যকে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে দেখার অবকাশ নেই।

পদোন্নতির ক্ষেত্রে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার’ প্রতি বিশ্বাসও অন্যান্য গুণাগুণের পাশাপাশি বিবেচ্য বলে মন্তব্য করেন সরকার প্রধান।

সেনাবাহিনীর সেনা সদর অফিসার্স মেসে রোববার সকালে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১২’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা একথা বলেন।

সেনাবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদের এই সভাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এর মাধ্যমেই আপনারা যোগ্য অফিসারদেরকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করবেন।”

কর্মকর্তাদের পদোন্নতির লক্ষ্যে ১ জুলাই থেকে পাঁচ দিনব্যাপী চলবে এই পর্ষদ। সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত এ পর্ষদের মাধ্যমে কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল থেকে কর্নেল পদে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই জনগণের সেবক হিসেবে দেশ পরিচালনা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস যখনই প্রয়োজন হবে আমরা আপনাদের জনগণের পাশে পাব। এ জন্য যোগ্য, দক্ষ, কর্মক্ষম এবং দেশপ্রেমিক অফিসারদের হাতে এর নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে হবে।”

শেখ হাসিনা নির্বাচনী পর্ষদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ন্যস্ত হয় তাদের হাতে যারা দেশপ্রেমিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।”

“পদোন্নতির ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার বিষয়টি অন্য কোন গুণাবলীর সাথে তুলনীয় নয়। শৃঙ্খলার সঙ্গে কোন প্রকার আপস করা যাবে না,” যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পদোন্নতির ক্ষেত্রে দেশ, সংবিধান ও সরকারের প্রতি আনুগত্যকে কোনো প্রকার দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে দেখার অবকাশ নেই।”

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল আবদুল ওয়াদুদ, মুখ্য সচিব শেখ ওয়াহেদ উজ জামান, প্রতিরক্ষা সচিব খোন্দকার আসাদুজ্জামান, প্রধামন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ