দুই মাস আগে লিসবনে ফাইনালের নায়ক কিংসলে কোমান এবার করলেন জোড়া গোল। জালের দেখা পেলেন লেয়ন গোরেটস্কা ও কোরোঁতাঁ তোলিসোও। দাপুটে পারফরম্যান্সে আতলেতিকো মাদ্রিদকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু করল বায়ার্ন মিউনিখ। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। দুই অর্ধে দুটি করে গোল করে শিরোপাধারীরা।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আতলেতিকো। তবে বাঁ দিক থেকে সতীর্থের গোলমুখে বাড়ানো বলে পা লাগাতে পারেননি লুইস সুয়ারেস। পঞ্চদশ মিনিটে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে নিকলাস সুলের শট পোস্টে লাগলে জাল অক্ষত থাকে আতলেতিকোর। ২৮তম মিনিটে কোমানের দারুণ নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ডান দিক থেকে জসুয়া কিমিচের লম্বা উঁচু করে বাড়ানো বল ছোট ডি-বক্সে বাম পা দিয়ে নামিয়ে ডান পায়ের টোকায় দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ফরাসি উইঙ্গার।
৫৯ দিন আগে লিসবনে পিএসজিকে হারিয়ে ইউরোপ সেরার ট্রফি জয়ের ম্যাচেও একমাত্র গোলটি করেছিলেন তিনি। ৪১তম মিনিটে আরেকটি দারুণ গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বায়ার্ন। ডি-বক্সের মধ্যে বাঁ দিক থেকে ঘিরে থাকা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ফাঁকি দিয়ে ডান দিকে পাস দেন কিংসলে কোমান। জোরালো কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান জার্মান মিডফিল্ডার গোরেটস্কা।
৬৪তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন ইয়ানিক কারাসকো। পাল্টা আক্রমণে সতীর্থের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে শট নিতে দেরি করে ফেলেন তিনি, পরে নেন লক্ষ্যভ্রষ্ট শট। দুই মিনিট পর অসাধারণ এক গোলে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন তোলিসো। প্রায় ২৮ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে বল জালে পাঠান তিনি।
৭২তম মিনিটে একক নৈপুণ্যে স্কোরলাইন ৪-০ করে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে ফেলেন কোমান। ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডার ফেলিপেকে কাটিয়ে ছোট ডি-বক্সের মধ্যে থেকে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন তিনি।