ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ টিকার ক্লিনিকাল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একজন স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে এতে পরীক্ষা বন্ধ হবে না।
অক্সেফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও টিকা পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিশ্চিত করে জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, বিষয়টি সতর্কভাবে খতিয়ে দেখার পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নিরাপত্তা নিয়ে এখন আর কোনো উদ্বেগ নেই।
ব্রাজিলের ও’গ্লোবো পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই স্বেচ্ছাসেবককে পরীক্ষাধীনে থাকা টিকা নয় বরং প্লাসবো (খালি ওষুধ) দেওয়া হয়েছিল।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ‘আনভিসা’ টিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের চিকিৎসাবিষয়ক গোপনীয়তা বজায় রাখার কথা বলে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।
অ্যাস্ট্রাজেনকাও বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
ব্রাজিলে অ্যাস্ট্রাজেনকা-অক্সেফোর্ডের টিকার তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার সমন্বয়ে সহায়তাকারী সাও পাওলো ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, মারা যাওয়া স্বেচ্ছাসেবক ব্রাজিলের নাগরিক। তবে তিনি কোথায় থাকতেন তা জানায়নি তারা।
এর আগে অ্যাস্ট্রাজেনকা-অক্সফোর্ডের টিকা পরীক্ষায় যুক্তরাজ্যে এক অংশগ্রহণকারী অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরীক্ষা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাস্ট্রাজেনকার টিকা পরীক্ষা ৬ সেপ্টেম্বর থেকেই বন্ধ আছে। এ সপ্তাহে তা আবার শুরু হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
ব্রাজিল সরকার এই টিকা কেনা এবং নিজেদের বায়োমেডিক্যাল গবেষণা কেন্দ্রে তা উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে।
অন্যদিকে, চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেডের আরেকটি টিকাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে সাও পাওলো রাজ্যের একটি গবেষণাকেন্দ্রে।
ব্রাজিলে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ মারা গেছে ১৫৪,০০০ জনেরও বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই ব্রাজিলের অবস্থান। আর সংক্রমণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের পর আছে ব্রাজিল। দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫২ লাখেরও বেশি।