চা দোকানকে ভোটকেন্দ্র বানিয়ে সেখানেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ভোটগ্রহণ। এই কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) পাবনার ভাঙ্গুড়ার মন্ডতোষ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে পরিদর্শন করে এই চিত্র দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এই ওয়ার্ডে নির্ধারিত কোনো ভোটকেন্দ্র নেই। সেজন্য টুনিপাড়া মন্ডলমোড়ের দুটি চার চালাবিশিষ্ট চায়ের দোকান ঘরকে ভোটকেন্দ্র বানানো হয়। এর একটি নারী ভোটারদের, অন্যটি পুরুষ ভোটারদের জন্য। পাশেই একটি ছোট ওষুধের দোকানকে বানানো হয় প্রিজাইডিং অফিসারের অফিস কক্ষ।
প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মাদ আলী আজম বলেন, ‘এই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো নির্ধারিত ভোটকেন্দ্র নেই। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও নেই। এই কারণে নির্বাচন কমিশন এই বাজারের দোকানগুলোকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতে নির্দেশনা দেয়।’
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৫৫৮ জন। সকাল সোয়া দশটায় ২০/২৫ শতাংশ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বাকিরা দিনের বিভিন্ন সময়ে ভোট দিয়েছেন। তবে, চা দোকানে ভোটগ্রহণ হলেও এখানে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। বরং ভোটাররা ব্যতিক্রমী এই ভোটকেন্দ্রে সানন্দে ভোট দিয়েছেন।’
ভাঙ্গুড়া ও মন্ডতোষ ইউনিয়নে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২১ হাজার। চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মাদ আলী আজম জানান, ‘এই কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।’