সিলেট নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন আহমদ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক এসআই আকবর হোসেনকে খুঁজতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হযেছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে।
সোমবার (১৯ অক্টোবর), পুলিশ সদর দপ্তরের একজন এআইজিকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। যাদের দায়িত্ব হলো এসআই আকবর যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে এবং তাকে কেউ পালাতে সহযোগীতা করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা। ৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ার পরপরই লাপাত্তা হয়ে যান বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্ত ইনচার্জ এসআই আকবর। তিনি যেন দেশত্যাগ করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আলোচিত এ ঘটনার মামলার তদন্তভার পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ৩ পুলিশ সদস্য। সোমবার (১৯ অক্টোবর), সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর আদালতে বিচারক মো. জিহাদুুর রহমানের আদালতে পুলিশ কনস্টেবল দেলোয়ার, সাইদুর ও শামীম ১৬৪ ধারায় এ সাক্ষ্য প্রদান করেন। রায়হানকে নির্যাতনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে এই তিন কনস্টেবল জবানবন্দি দিয়েছেন বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে। তবে, জবানবন্দিতে তারা কি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি পিবিআই।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবক। পরে রবিবার সকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।