সমান অধিকার না পাওয়া, সমান সুযোগ না পাওয়া, সবলের ওপর দুর্বলের অত্যাচার, প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হওয়া, কারও বাড়িতে উদ্বৃত্ত খাবার আবার কারও না খেয়ে থাকা- এ সবই বৈষম্য। পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে সমাজের সকল স্তরে এই বৈষম্য বজায় আছে। যেসব দেশ বৈষম্য কমাতে পেরেছে, তারাই উন্নতির শিখরে উঠে গেছে। আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির কাছেও সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম বৈষম্য। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই তিনি লড়াই করে যাচ্ছেন।
করোনার এই কঠিন সময়ে বহু মানুষের চাকরি গেছে, বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এমন বিপদের দিনে মেসি আর্জেন্টিনার মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে যাচ্ছেন। বিভিন্নভাবে সহায়তা করছেন সাধারণ মানুষকে। মেসি মনে করেন, ‘বৈষম্যই সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই বৈষম্য নিরসনে সবার একসঙ্গে কাজ করা উচিত। এ বছর বার্সেলোনার জেতা শিরোপাগুলো সেসব মানুষদের প্রতি উৎসর্গ করা উচিত, যারা কোনো না কোনোভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িত।’
মেসির দেশ এখন করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে। মেসি বেশ আগে থেকেই যতটা সম্ভব বেশি অবদান রাখার চেষ্টা করছেন। কখনো অর্থ সহায়তা, খাদ্য সহায়তা আবার কখনো মেডিক্যাল সামগ্রী পাঠাচ্ছেন নিয়মিত। এ বছরের শুরুতে করোনার বিপক্ষে লড়াইয়ে ১ মিলিয়ন ইউরো দান করেছেন। যা বার্সেলোনার হাসপাতাল এবং আর্জেন্টিনায় চিকিৎসাসেবায় ব্যয় হচ্ছে। আর্জেন্টিনার সাময়িকী ‘গারগান্তা পোদেরসা’কে দেওয়া সাক্ষাতকারে মেসি আরও বলেন, ‘মহামারির সময় আমাদের মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি যেমন পানি, খাবার ও বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে হবে।’