পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হওয়ার পরও তা নির্মাণে কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত।
দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ পাওয়ার কথা বলে বিশ্ব ব্যাংক শনিবার পদ্মা সেতু প্রকল্পে তাদের অর্থায়ন বাতিলের ঘোষণা দেয়।
বিশ্বব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের পর কাছে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আবুল বারকাত বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করলে কোনো সমস্যা নেই। এরকম বড় প্রকল্পে দেশ-বিদেশে অর্থায়ন করার মতো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফের অর্থ দেওয়ার সময় অনেক কঠিন শর্ত থাকে। তাদের শর্ত জাতীয় অর্থনীতি এবং দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর প্রভাব পড়ে। সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হলে সে অর্থ না নেওয়াই উচিত।’
২৯০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ছিল। ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নির্মাণে বিশ্বব্যাংক গত বছর অর্থায়ন স্থগিত করলে মালয়শিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করে সরকার। ১০ এপ্রিল মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়। ২৮ জুন চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে খসড়া প্রস্তাব দেয় মালয়েশিয়া।
এতো বড় প্রকল্পের অর্থায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকাসহ অন্যান্য উৎস ব্যবহার করা যেতে পারে।
‘আমাদের প্রযুক্তি আছে, বিশেষজ্ঞ আছে এবং সামর্থ আছে এমন প্রকল্প নির্মাণের।’
এ প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘দেশ-বিদেশে এরকম প্রকল্প নির্মাণের জন্য যৌথ ভিত্তিতে নির্মাণ করা যেতে পারে।’