ভিওআইপি লাইসেন্সের দরখাস্ত এ সপ্তাহে, ফি ৫ লাখ টাকা

ভিওআইপি লাইসেন্সের দরখাস্ত এ সপ্তাহে, ফি ৫ লাখ টাকা

ভিওআইপি(ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) উম্মুক্ত করতে এ সপ্তাহেই দরখাস্ত আহবান করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বিটিআরসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ভিওআইপি সার্ভিসেস প্রোভাইডার (ভিএসপি) নামে লাইসেন্স নীতিমালার আওতায় ক্ষুদ্র অপারেটর পর্যায়ে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনাল উম্মুক্ত করে দিতেই বিটিআরসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এভাবে লাইসেন্স নিলেও ভিওআইপি সংযোগ যারা নেবেন তারা ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হবেন না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আবেদনপত্র সংগ্রহ ফি ধরা হয়েছে ৫ হাজার টাকা, লাইসেন্স ফি ৫ লাখ টাকা। এছাড়াও বার্ষিক ফি ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গেল সপ্তাহে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার গাইডলাইনের খসড়া অনুমোদন করে।

এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ বলেন, ভিওআইপি লাইসেন্সের জন্য দরখাস্ত আহবান করতে কমিশন গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে দ্রুত কাজ করছে।

তিনি জানান, এরই মধ্যে কমিশন ৮২টি প্রতিষ্ঠানকে গেটওয়ে লাইসেন্স দিয়েছে। এতে করে ভিওআইপি থেকে রাজস্ব আয়ের চেয়ে লোকসানই হতে পারে।

অবৈধ ভিওআইপি ঠেকাতে এর আগে সরকার তিন হাজার ভিএসপি লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। পরবর্তীতে ৮২টি প্রতিষ্ঠানকে গেটওয়ে লাইসেন্স দেওয়া হয়। দেশের ব্যবসার ক্ষেত্রের তুলনায় এই সংখ্যাকে অতিরিক্ত আখ্যায়িত করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ সচিব সুনীল কান্তি জানিয়েছেন, অনুমোদিত গাইডলাইন বিটিআরসির কাছে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে দেশে বছরে ৬০ মিলিয়ন কল আসে। এর মধ্যে ৫০ মিলিয়ন কল বৈধ। বাকিটা অবৈধ। এ কারণে সরকার বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।

বর্তমানে দেশে প্রতিদিন বৈধ পথে সাড়ে চার কোটি মিনিটের টেলিফোন কল আসে। আরও সমসংখ্যক কল অবৈধ পথে আসে বলে। এই সংখ্যক কলকে বৈধ পথে আনতেই গত বছর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভিএসপি নীতিমালার খসড়া করেছিল বিটিআরসি। পরে আরও বেশ কিছুদিন সেটি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পড়ে ছিল। এক পর্যায়ে আবারও নীতিমালার কাঠামো পরিবর্তনের আলোচনায় আসে। এসব প্রক্রিয়ার কারণেই বিলম্ব হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষে ২০১১ এর ডিসেম্বরে এ লাইসেন্স উম্মুক্ত করার কথা ছিল। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এ প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়।

বর্তমানে এক মিনিটের আন্তর্জাতিক কল বৈধ পথে দেশে এলে তিন সেন্ট বা দুই টাকা ত্রিশ পয়সা দেশে আসে। এই পয়সার ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ পায় আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ)। ১৫ শতাংশ পায় আন্তর্জাতিক আন্তঃসংযোগ এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স)। ২০ শতাংশ পায় শেষ পর্যন্ত ফোনকলটি যেখানে গিয়ে পৌঁছায় সেই অপারেটর। আর বাকি ৫১ দশমিক ৭৫ শতাংশ পায় বিটিআরসি বা সরকার।

সূত্র জানায়, গত ১৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য ভিএসপি নীতিমালা পাঠানো হয়েছিল। এ খাতের আগের সব নীতিমালা যেহেতু প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাই এটিও সেখানেই পাঠানো হয়েছিল।

অর্থ বাণিজ্য