বিরোধপূর্ণ পূর্ব ভূমধ্যসাগরে জ্বালানি সম্পদ অনুসন্ধান কার্যক্রমের কারণে আঙ্কারার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার হুমকি প্রত্যাখ্যান করেছে তুরস্ক। শুক্রবার (২ অক্টোবর) তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতির মাধ্যমে বলছে, নিষেধাজ্ঞার ভাষা প্রয়োগ চালিয়ে যাওয়া গঠনমূলক নয়। যদিও ইইউর বিবৃতিতে থাকা ইতিবাচক উপাদানকেও স্বাগত জানানো হয়েছে তুরস্কের বিবৃতিতে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্ক গত মাসে জ্বালানি সম্পদ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করলে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়। তুরস্কের ওই অনুসন্ধান কার্যক্রমকে অবৈধ বিবেচনা করে ইইউ জোটের সদস্য দেশ দুটি। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) ইইউর এক বৈঠক শেষে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে তুরস্ককে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ না করলে আঙ্কারার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওই হুমকির প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ইইউকে অবশ্যই এখন বুঝতে হবে যে এই ধরনের ভাষা ব্যবহারে কোনও লাভ হবে না।
ইইউর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তুরস্ক যদি সরল মনে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার এবং এক পাক্ষিক পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি দেয় তাহলে আঙ্কারাকে জোটের আরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং উন্নত বাণিজ্যের সুযোগ দেওয়া হবে।
ইইউর বিবৃতিতে থাকা এসব ‘ইতিবাচক উপাদান’কে স্বাগত জানানো হয় তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতিতে কোনও কোনও অংশ বাস্তবতা বিবর্জিত। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিবৃতিতে দাবি করা হয়, কয়েকটি দেশ তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কেমন আগ্রহী। আবার ইইউ-তুরস্ক সম্পর্ককে গ্রিস ও সাইপ্রাস কীভাবে জিম্মি করছে তারও একটি উদাহরণ বলেও তুর্কি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।