চট্টগ্রাম কাস্টমস রাজস্ব আদায়ে ২২ হাজার ৫৬০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে।
চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার দুই কার্যদিবস আগেই বুধবার পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠান ২২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। আদায়ের এ পরিমাণ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০ কোটি টাকা বেশি।
বৃহস্পতিবার কাস্টমস হাউজের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মারুফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, চলতি অর্থ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কম হওয়ায় রাজস্ব আদায় নিয়ে দৌড়-ঝাঁপ বেশি হয়েছে। তবে শুল্ক ফাঁকি রোধে দ্বিগুন জরিমানা করা এবং তা আদায় হওয়ায় অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়।
দেশের আমদানি বাণিজ্যের ৫৩ শতাংশ এবং রপ্তানি বাণিজ্যের ৮৫ শতাংশ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্বের ২৩ শতাংশ এই শুল্ক ভবন থেকে আদায় হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার মতিউর রহমান, যুগ্ম কমিশনার মুশফিকুর রহমান, উপ-কমিশনার মাহমুদুল হাসানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনার মারুফুল ইসলাম বলেন, সেবা বাড়াতে আগামী সপ্তাহ থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারও কাস্টমস হাউজ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া নির্ধারিত দাপ্তরিক সময়ের বাইরেও শুল্কায়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে রাজস্ব বোর্ডের একটি চুক্তি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মারুফুল ইসলাম জানান, এ চুক্তির আওতায় ব্যবসায়ীরা প্রতিটি আমদানি-রপ্তানি চালান শুল্কায়ন বাবদ অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে দেবেন। এই টাকা আলাদা একটি তহবিলে যোগ হবে। নির্ধারিত সময়ের বাইরে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শুল্কায়ন কার্যক্রমে জড়িত থাকবেন তাদের এ তহবিল থেকে ভাতা দেওয়া হবে।
আগামী শনিবার কাস্টমস হাউজ মিলনায়তনে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হবে। একইদিন অনলাইনে শুল্ক-কর পরিশোধ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করা হবে।