অবৈধ ক্যাসিনোর কারবারে মাধ্যমে ‘বিপুল সম্পদ’ অর্জন, বাড়ি দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ কথা জানান।
সরকারি কর্মকর্তাদের ‘ঘুষ দিয়ে’ বড় বড় কাজ বাড়িয়ে নেওয়া, বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনোর কারবারে ‘শত শত কোটি টাকা’ অর্জন করে বিদেশে পাচারের অভিযোগে আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এক বছর ধরে অনুসন্ধান করছে দুদক। এর অংশ হিসেবেই শফিকুল ইসলাম সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে দুদকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় অবৈধভাবে চালানো ক্যাসিনো বন্ধে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযান শুরু হলে এ কারবারে যুবলীগের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে আসে। ওই অভিযানের মধ্যেই নিজের অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ গ্রেফতার হন যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে আসা জিকে শামীম।
ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধানে নামে দুদক। প্রায় ২০০ জনের তালিকা ধরে ওই অনুসন্ধান চলছে।
দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল এই অনুসন্ধান করছেন। দলের অপর সদস্যরা হলেন উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।