ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের একটি আদালত ৫ বেসামরিক কাশ্মীরি হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সামরিক আদালতে করার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অনুমতি দিয়েছে।
২০০০ সালের মার্চে কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় ৫ নিরীহ বেসামরিক কাশ্মীরিকে সাজানো বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় হত্যা করা হয়। পরে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিবিআই) তদন্তে এর সত্যতা প্রমাণিত হয়। এর সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৫ সেনা কর্মকর্তার জড়িত থাকার প্রমাণ পায় সিবিআই।
পরবর্তীতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি রুলিং জারি করে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সাধারণ আদালতে হবে নাকি সামরিক আদালতে হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলে সেনাবাহিনীকে । এর প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে অভিযুক্তদের বিচার সামরিক আদালতে করার আবেদন জানায়।
এই আবেদনের প্রেক্ষাপটে শ্রীনগরের মুখ্য বিচারিক আদালতের বিচারক রাজিব গুপ্তা অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সামরি আদালতে সম্পন্ন করার সেনাবাহিনীর আবেদনকে অনুমোদন দেন।
তবে এই আদালতের এই নির্দেশনায় কাশ্মীরি মানবাধিকার সংগঠনগুলো তাদের হতাশা ব্যক্ত করেছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের প্রচলিত অপরাধ আদালতেই বিচারের সম্মুখীন করার আহবান জানিয়ে আসছে তারা।
অভিযুক্ত এই পাঁচ সেনা কর্মকর্তা হলেন ব্রিগেডিয়ার অজয় সাক্সেনা, লে.কর্নেল ব্রজেন্দ্র প্রতাপ সিং, মেজর সৌরভ শর্মা মেজর অমিত সাক্সেনা এবং সুবেদার ইদ্রিস খান।
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই কয়েক বছর আগে কাশ্মীরের একটি আদালতে এই পাঁচ সেনা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেয়। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এই ঘটনার জন্য অনন্তনাগ জেলার তৎকালীন বিশেষ পুলিস সুপার ফারুক খানকে দায়ী করে। তাদের দাবি ফারুক খান ওই পাঁচ ব্যক্তির নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সেনাবাহিনীকে বিপথে চালিত করে। উল্লেখ্য, ফারুক খান বর্তমানে জম্মুর সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।