করোনা পরিস্থিতির কারণে আর্থিক অবস্থা সংকুচিত হলেও ধীরে ধীরে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হচ্ছে। বর্তমান অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬.৮ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি সহনীয় ৫.৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে ধারণা করছে উন্নয়ন সংস্থা এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ম্যানিলা থেকে এডিবির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক রিপোর্টে এ তথ্য দেওয়া হয়।
উৎপাদন খাতে চাঙা ভাব ও রফতানি বৃদ্ধির পাশাপাশি সহনীয় মূল্যস্ফীতি ও চলতি খাতের ঘাটতি ১.১ শতাংশ হবে ধারণা করছে ব্যাংকটি। দক্ষ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও সরকারের প্রণোদনার দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং এ কারণে ৬.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে প্রাক্কলন করা হয়েছে। তবে এ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে বাংলাদেশ বা রফতানি বাজারে কোভিড ১৯ দীর্ঘায়িত হওয়া।
এডিবির বাংলাদেশ প্রধান মনমোহন পরকাশ বলেন, স্বাস্থ্য ও মহামারি ব্যবস্থাপনা করার জন্য চাপ থাকলেও প্রণোদনা প্যাকেজ ও সামাজিক সুরক্ষার মাধ্যমে সরকার অর্থনীতি ভালো ব্যবস্থাপনা করতে সক্ষম হয়েছে। রফতানির বর্তমান ভালো অবস্থাও বিদেশ থেকে অর্থায়ন সংগ্রহ করার পাশাপাশি সরকারের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, দ্রুত করোনার টিকা সংগ্রহ করা ও মহামারি ব্যবস্থাপনায় জোর দেওয়া হলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার টেকসই হবে। মহামারির এই সমস্যা একটি সুযোগও বটে এবং এর ফলে সম্পদের ব্যবহার, রফতানি বহুমুখীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কার বেগবান করা যেতে পারে।
এডিবি করোনা মহামারির জন্য ইতোমধ্যে ৬০ কোটি ডলার দিয়েছে। এছাড়া ২০২১-২৩ মেয়াদে ৫৯০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে এডিবি এবং যদি সম্পদ সংগ্রহ করা সম্ভব হয় তবে বাড়তি ৫২০ কোটি ডলার পর্যন্ত সহায়তা পাবে বাংলাদেশ।