জকিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

জকিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পথে রয়েছে। তবে দেশের সর্ব উত্তর-পূর্বের সীমান্তবর্তী জনপদ জকিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

ভারতের বরাক নদী দিয়ে প্রবল বেগে জকিগঞ্জ হয়ে স্রোত নদীর তীর উপচে ছড়িয়ে পড়ছে লোকালয়ে। এ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বৃস্পতিবার সকালে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাদের পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, এ পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১.৫৩ মিটার, সিলেটে ০.৬৭ মিটার, কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জের আমলসিদ পয়েন্টে ২.০১৮ মিটার ও বিয়ানীবাজারে শ্যাওলা পয়েন্টে ০.৯৭ মিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ হিসেবে জকিগঞ্জ ছাড়া অন্য উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পথে রয়েছে।

গোয়াইঘাট ও জৈন্তায় পাহাড়ি ঢল আসা বন্ধ হয়েছে। তবে বন্যা পরবর্তী দুর্ভোগ চরম আকারে দেখা দিয়েছে। জাফলং চা-শ্রমিকদের কাঁচা বাড়িঘর ভেসে যাওয়ায় এখন তারা খোলা আকাশের নিচে। তাছাড়া রয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের সংকট।

এদিকে সীমান্তবর্তী সুরমা-কুশিয়ারা বিধৌত জকিগঞ্জে পানি বৃদ্ধির কারণে উজিরপুর, বড়পাথর, খলাছড়া, বারঠাকুরী ইউপির পিল্লাকান্দী গ্রামের কাছে ও জকিগঞ্জ পৌর এলাকার ছয়লেন গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে। জকিগঞ্জ পৌর এলাকার বিলেরবন্দ, পঙ্গবট ও ছয়লেন প্লাবিত হয়ে পড়েছে। উপজেলার একমাত্র সরকারি খেলার মাঠটি ডুবে গেছে।

জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাব্বির আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলার এক লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। উপজেলার বক্ষিপুর, সহিদাবাদ, উত্তরকুল ও বীরশ্রী এলাকায় কুশিয়ারার ভাঙ্গনে হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছেন।

তিনি আরো জানান, সুরমা নদীর আটগ্রাম বাজার, নলুহাটি গ্রাম বড়বন্দ ও কাকুরাখাল, বারহাল ইউয়িনের নিজগ্রাম, কাললসাহ বন্যার্ত হাজার হাজার মানুষের কাছে এখনো কোনো সাহায্য পৌঁছানো যায়নি।

এদিকে, পানি বৃদ্ধির কারণে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের মরিচা যাত্রী ছাউনির পশ্চিমে একটি ব্রিজ তলিয়ে যাওয়ায় জকিগঞ্জের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

 

বাংলাদেশ