বিরোধী দল প্রহরায় না থাকলে গণতন্ত্র এগোয় না: সুরঞ্জিত

বিরোধী দল প্রহরায় না থাকলে গণতন্ত্র এগোয় না: সুরঞ্জিত

দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি বলেছেন, ‘‘বিরোধী দল প্রহরায় না থাকলে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়। গণতান্ত্রিক অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মান করাও গণতন্ত্র।’’

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধা লীগ আয়োজিত ‘সংবিধান ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা গণতান্ত্রিক সরকারের দায়িত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সুরঞ্জিত বলেন, ‘‘বিরোধী দলের কাজ সরকারের ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া ও গঠনমূলক সমালোচনা করা। বিরোধী দল সরকারের অংশ। বিএনপিতে দেশপ্রেমিক এবং গণতন্ত্রকামী অনেক নেতা আছেন। আশা করি, তারা গণতন্ত্রের স্বার্থে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বিষয়ে আলোচনায় যোগ দেবেন।’’

তিনি মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী বিএনপি নেতাদের মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা যেহেতু সাংবিধানিক ধারায় রাজনীতি করতে চান। সেহেতু ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ পরিহার করে সংসদে আসুন। যদি জঙ্গিবাদীদের পরিহার করতে পারেন তবে স্বাগত জানাবো।’’

তত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘‘অসাংবিধানিক শর্তে আলোচনা সম্ভব নয়। তাছাড়া এ সরকারের আমলে অনেকগুলো নির্বাচন হয়েছে। সেগুলো নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।’’

তিনি বলেন, ‘‘দেশে দ্বিতীয় বা তৃতীয় শক্তি নেই। দেশে একটিই শক্তি আছে। আর তা হল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। যে শক্তির নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে।’’

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের ৯০ দিন আগে থেকে সংসদের কোনো কার্যক্রম থাকবে না। সুতরাং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে কোনো প্রশ্নই আসে না।’’

বাজেট বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘যতো বড় বাজেট ততো বড় উন্নয়ন। এ সরকারের আমলে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, রফতানি, প্রবৃদ্ধি, শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে।’’

সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল গফুর আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ, ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।

রাজনীতি