প্রকৌশল, টেক্সটাইল ও কেমিক্যাল খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে

প্রকৌশল, টেক্সটাইল ও কেমিক্যাল খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে

দেশের প্রকৌশল, টেক্সটাইল ও কেমিক্যাল খাতে বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ বাড়ছে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে প্রকৌশল শিল্প খাত। অন্যদিকে বিনিয়োগ কমছে সেবা ও কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বিনিয়োগ বোর্ডের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিনিয়োগ বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই ’১১-মার্চ ’১২) যে পরিমাণ বিদেশি ও যৌথ প্রস্তাব বিনিয়োগ বোর্ডে নিবন্ধিত হয়েছে এর প্রায় ৮৫ শতাংশই প্রকৌশল খাতের। আলোচ্য সময়ে এ খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ ৩৪৭ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।

অন্যদিকে গত ২০১০-১১ অর্থবছরে এ খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ ছিল ১২৮ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ নয় মাসে আগের বছরের তুলনায় এ খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাব বেড়েছে প্রায় তিনগুণ।

উল্লেখ্য, বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বিনিয়োগ বোর্ডে মোট ১৭১টি  বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প নিবন্ধিত হয়েছে। এর বিপরীতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ৪১০ কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রকৌশল, টেক্সটাইল ও কেমিক্যাল খাতে বিনিয়োগ এর আগের অর্থবছরের (২০১০-১১) তুলনায় বেড়েছে।

টেক্সটাইল খাতে গত অর্থবছরে বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ ছিল ১৬ কোটি ডলার, বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এ খাতে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। আর কেমিক্যাল খাতে গত বছর বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল ৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। অর্থাৎ নয় মাসে বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

অন্যান্যের মধ্যে কৃষি শিল্পভিত্তিক খাতে ৯ কোটি ৪৩ লাখ ডলার, খাদ্য ও খাদ্যজাত খাতে ৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার, সেবা খাতে ৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার এবং ট্যানারি ও চামড়া শিল্প খাতে ১ লাখ ৪২ লাখ ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সেবা খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাব ব্যাপক কমেছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে সেবা খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ যেখানে ছিল ৩৪৩ কোটি ডলারেরও বেশি, এবার তা মাত্র ৭ কোটি ৬২ লাখ ডলারে নেমে এসেছে। এছাড়া কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাব কমেছে প্রায় ৩ কোটি ডলার।

দেশ ওয়ারি হিসাবে বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। এ দেশ থেকে বিনিয়োগ এসেছে ২২৯ কোটি ২২ লাখ ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড। এখান থেকে বিনিয়োগ এসেছে ১১৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার।

এছাড়া ভারত থেকে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, শ্রীলঙ্কা থেকে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, নেদারল্যান্ডস থেকে ৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার (গত বছর ছিল ১১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার) , চীন থেকে ৪ কোটি ৬২ লাখ ডলার (গত বছর ছিল ৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার), জাপান থেকে ৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার (গত বছর ছিল ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার), যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ কোটি ৫১ লাখ ডলার (গত বছর ছিল ৮৪ কোটি ৬৭ লাখ ডলার) এবং মালয়েশিয়া থেকে ১ কোটি ডলারের (গত বছর ছিল ১৩ কোটি ৭১ লাখ ডলার) বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, আগের বছরের তুলনায় বিদায়ী অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা বিনিয়োগের পরিমাণ কমে গেছে অনেক। এছাড়া মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস ও চীন থেকে আসা বিনিয়োগের পরিমাণও কমেছে। তবে জাপানি বিনিয়োগ কিছুটা বেড়েছে।

 

অর্থ বাণিজ্য