কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের পাশে বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা ভাসানচরে পরিদর্শনে যাচ্ছে একদল রোহিঙ্গা। ৪০ সদস্য বিশিষ্ট এ রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলটি আজ শনিবার ভোরে কক্সবাজার থেকে রওনা দেয়। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে সড়কপথে চট্টগ্রামে এবং নৌবাহিনীর একটি জাহাজে ভাসানচরে তাদের নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ভাসানচরে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে বা দ্বীপটি বসবাসের জন্য কেমন, তা নিজেদের চোখে দেখবে প্রতিনিধি দলটির রোহিঙ্গা নেতারা।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদার জানিয়েছেন, প্রতিটি ক্যাম্প থেকে নির্বাচিত প্রায় ৪০ জন রোহিঙ্গা নেতা রয়েছেন প্রতিনিধি দলে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ভাসানচর থেকে তাদের কক্সবাজার শরণার্থী ক্যাম্পে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, ভাসানচর সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের মাঝে ধারণা দিতে এই ‘গো এন্ড সি’ ভিজিট।
জানা গেছে, কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবির থেকে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা ভাসানচর দ্বীপে অস্থায়ীভাবে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সেখানকার ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ এবং এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ইতোমধ্যে ভাসানচরে নিয়ে আশ্রয় দিয়েছে সরকার।
সফরকারী রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলটি ওইসব রোহিঙ্গাদের সাথেও কথা বলবেন এবং তাদের জীবনমান পর্যবেক্ষণ করবেন। ভাসানচর থেকে ফিরে কক্সবাজারের ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা দেবেন রোহিঙ্গা নেতারা। প্রতিনিধি দলে ২ নারী সদস্যও রয়েছেন।