গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় জেলায় কোভিড–১৯ রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪ জনে। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭১২ জন। বিভিন্ন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ৩০৮ জন। জেলায় এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪ জন। শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সবশেষ পরিসংখ্যানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ। সংখ্যাধিক্য অনুযায়ি শুক্রবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গাইবান্ধা সদরে সবচেয়ে বেশি ৩৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর পরের অবস্থানে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পাওয়া গেছে ৩০১ জন, পলাশবাড়ী উপজেলায় ৯১ জন, সাদুল্লাপুর উপজেলায় ৮৮ জন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৭৪ জন, সাঘাটা উপজেলায় ৭১ জন ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৬১ জন।
তবে করোনার সংক্রমণের মধ্যেই আশার আলো এর সুস্থতার সংখ্যা। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ২৯ জন সুস্থ হয়ে আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় ৭১২ জন মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন ওই রোগ থেকে। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ২৪৪ জন, গাইবান্ধা সদরে ১৯৬ জন, পলাশবড়ীতে ৭২ জন, সাদুল্লাপুরে ৫৮ জন, সুন্দরগঞ্জে ৫৬ জন, সাঘাটায় ৫১ জন ও ফুলছড়িতে ৩৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
গাইবান্ধায় বর্তমানে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ৩০৮ জনের মধ্যে ১৪৯ জন গাইবান্ধা সদরে, গোবিন্দগঞ্জে ৫৩ জন, সাদুল্লাপুরে ২৮ জন, ফুলছড়িতে ২৬ জন, সাঘাটায় ২০ জন, সুন্দরগঞ্জে ১৭ জন ও পলাশবাড়ীতে ১৫ জন রয়েছেন।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১৪ জন করোনা আক্রান্তরোগী মারা গেছেন। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ৪ জন, সদরে ৩ জন, সাদুল্লাপুরে ২ জন, পলাশবাড়ীতে ৪ জন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ে স্থানীয়রা অনেকটাই অসচেতন। চলাচলে অসতর্কতা এবং সামাজিক দূরত্ব ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি কেউ সঠিকভাবে মেনে চলছেন না। সাধারণ মানুষ হাঁটবাজার, দোকানপাট ও রাস্তাঘাটে অবাধে চলাচল করছেন। চলছে চায়ের দোকানে আড্ডা। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কমেছে প্রশাসনের নজরদারিও। এতে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টরা।