‘সবুজ জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলা সম্ভব’

‘সবুজ জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলা সম্ভব’

নবায়ণযোগ্য সবুজ জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে বাংলাদেশের বিদ্যমান বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলা করা সম্ভব। প্রতিবেশী দেশ ভারত শুধুমাত্র বায়ুশক্তি ব্যবহার করেই বছরে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। বাংলাদেশও সৌর, বায়ু ও জৈব-প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে জাতীয় চাহিদা মেটাতে পারে। এর জন্য জ্বালানি সাশ্রয়ী সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্যোক্তাদের সরকারি নীতি সহায়তা দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে ‘সবুজ আবাসন শিল্প’ শীর্ষক সেমিনার এবং তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পরিবেশবান্ধব স্থাপত্য ও নির্মাণ প্রযুক্তির প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অ্যাক্রাপোনেট এক্সিবিশন (প্রাইভেট) লিমিটেড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাক্রাপোনেট এক্সিবিশন’র পরিচালক রাশেদুল হক, বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জেবুন নাসরিন আহমেদ, ইকো ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মাহমুদ উল্লাহ্, সোলার পাওয়ার অ্যান্ড ইলেকট্রিক ইন্ডাস্ট্রিজ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হালিম প্রমুখ।

বক্তারা আরো বলেন, কয়লা ও খনিজ তেলের অবাধ ব্যবহারের ফলে ২০৫০ সালের পর সারা বিশ্ব মারাত্মক জ্বালানি সংকটে পড়বে। এ সংকট মোকাবিলায় এখন থেকেই বিকল্প সবুজ জ্বালানির উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। বাংলাদেশে কার্বন কর ও জলবায়ু তহবিল ব্যবহার করে নবায়ণযোগ্য সবুজ জ্বালানির নিরাপদ যোগান গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে দেশে প্রায় ২০ হাজার সোলার টেকনিশিয়ান তৈরি হয়েছে। সবুজ জ্বালানি জনপ্রিয় করতে এ খাতে আমদানিকৃত প্রযুক্তির ওপর কর অবকাশ সুবিধা প্রদান করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়ন ও আবাসন গড়ে তুলতে সরকার উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিচ্ছে। জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি সক্ষমতা অর্জন সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।

দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সরকার গৃহীত নীতির ফলে দেশ ধীরে ধীরে শিল্পনির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দ্রুত নগরায়ণের প্রসার ঘটছে।

তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, কোরিয়া, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের ১৯টি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এতে পরিবেশবান্ধব রং, নির্মাণ সামগ্রী, কিচেন ওয়্যার, ফায়ার ও বিল্ডিং সিকিউরিটি সিস্টেম, লো-কার্বন অটোমেশন পণ্য, সোলার প্যানেলসহ পরিবেশবান্ধব সবুজ জ্বালানি সামগ্রী প্রদর্শন করা হচ্ছে।

প্রদর্শনী চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। এটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য খোলা থাকবে।

অর্থ বাণিজ্য