যুক্তরাষ্ট্র থেকে বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) ভোরে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ওঠেন বনানীর নিজ বাসায়। শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) থেকে বিকেএসপিতে ৪ থেকে ৫ সপ্তাহ নিবিড় অনুশীলন করবেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাতার এয়ারওয়েজে ঢাকা আসার আগে তিনি করোনা টেস্ট দিয়েই বিমানে উঠেছেন। তবে বিকেএসপিতে অনুশীলনে যাবার আগে নতুন করে করোনা টেস্ট করার নিয়ম থাকায় তিনি বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ফের করোনার পরীক্ষা করাতে দেন।
করোনার সেই রিপোর্টটি হাতে পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। আজ (শুক্রবার) বিকেল পাঁচটার দিকে রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে বলে নিশ্চিত করেছে সাকিবের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র।
রিপোর্টে যেহেতু খারাপ কিছু আসেনি, তাই অনুশীলনে যোগ দিতে আর কোনো ঝামেলা নেই সাকিবের। ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেএসপি যাবেন তিনি। সেখানে ৪ থেকে ৫ সপ্তাহ নিবিড় অনুশীলন করবেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী আগেই জানিয়েছিলেন, সাকিবের করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক নয়। যেহেতু তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাতার এয়ারওয়েজে ঢাকা এসেছেন, তাই তাকে করোনা টেস্ট দিয়েই বিমানে উঠতে হয়েছে।
সেক্ষেত্রে শুধু আইসোলেশনে থাকলেই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু ঝামেলা আরেক জায়গায়। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিকেএসপিতে একান্তে নিবিড় অনুশীলন করবেন সাকিব। আর করোনা টেস্টে ‘নেগেটিভ’ রিপোর্ট নিয়ে তবেই বিকেএসপিতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন তিনি।
আগামী ২৯ অক্টোবর আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হচ্ছেন সাকিব। তাকে আবার শ্রীলঙ্কা সফরে দ্বিতীয় টেস্টে খেলানোর কথা ভাবা হচ্ছে। বিকেএসপির একান্ত অনুশীলনটা মূলত সে লক্ষ্যেই।