বাজেটে চরাঞ্চলের জন্য বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন: ইব্রাহীম খালেদ

বাজেটে চরাঞ্চলের জন্য বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন: ইব্রাহীম খালেদ

চরাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক, অবকাঠামো ও হতদরিদ্র মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. ইব্রাহীম খালেদ।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘উন্নয়ন সমন্বয়’ ও ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড, বাংলাদেশ’ নামের দুটি বেসরকারি সংস্থা আয়োজিত ‘চরের হতদরিদ্র মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মতবিনিময় সভার আয়োজক সংস্থার ‘নদী ও জীবন-২’ নামের প্রকল্প বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের সমন্বয়কারী জাহিদ রহমান।

এ সময় আরো বক্তৃতা করেন উনন্নয়ন সমন্বয়ের প্রকল্প সমন্বয়কারী সাহিন উল আলম ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক গোলাম সারোয়ার তলুকদার।

মতবিনিময় সভায় ইব্রাহীম খালেদ বলেন, “চরাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য উপজেলা কেন্দ্রীক চরাঞ্চলভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন করা প্রয়োজন। বিভিন্ন সময় এ দাবি করা হয়েছে। কিন্তু তা মানা হয়নি।”

তবে বাজেটে চরাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য আলাদা বরাদ্দ দেওয়ার এখনও সময় রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পাশাপাশি চরাঞ্চলের মানুষের ব্যাংকিংসেবা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রণাধীন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) মাধ্যমে মাইক্রোক্রেডিট ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউট (এমএফআই) স্থাপন করা প্রয়োজন। এ ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় খুব কম হওয়ার চরাঞ্চলগুলোতে এগুলো স্থাপন করা সহজ।

এছাড়া চরে স্কুল, তথ্যকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন উপ-তথ্যকেন্দ্র ও সরকারের সামাজিক নিরপত্তা বলয় জোরদার করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গোলাম সরোয়ার তালুকদার বলেন, “এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য অতি দরিদ্র মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন করা। এর মাধ্যমে চরের মানুষকে উন্নত প্রযুক্তির কৃষিপণ্য উৎপাদন, কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে চাকরির সুবিধা প্রদান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, এর ফলে চরাঞ্চলের মানুষ আত্মনির্ভরশীল হতে পারবে। এ প্রকল্পে মাধ্যমে ১৫ হাজার পরিবারের ৭৫ হাজার চরাঞ্চলবাসী এ সুবিধা পাবে।”

মূল প্রবন্ধে জাহিদ রহমান বলেন, “নির্বাচিত বিচ্ছিন্ন চর এলাকার পরিবারগুলোকে অতি দরিদ্র্য অবস্থা থেকে বের করে আনা এ প্রকল্পের লক্ষ্য। এছাড়া সরাসরি লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে অতি দরিদ্র পরিবারগুলোর প্রত্যেক সদস্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের উৎপাদন কার্যক্রম এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে খদ্য নিরাপত্তা অর্জন করা।”

অর্থ বাণিজ্য