দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, মামলার অন্যতম আসামি আসাদুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আজ ভোর সাড়ে ৪টায় র্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে হিলির কালীগঞ্জ এলাকা থেকে আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি ঘোড়াঘাট উপজেলার সাগরপুর গ্রাম। বাবার নাম আমজাদ হোসেন।
তিনি আরও জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলার রানিগঞ্জে অভিযান চালিয়ে নিজ বাসা থেকে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার ওসমানপুর সাগরপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) ঘোড়াঘাট থানায় ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টার মামলা করেন।
বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার সরকারি বাংলোতে হামলার শিকার হন ওয়াহিদা খানম। এ সময় তার বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। ওয়াহিদা খানমকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জরুরি ভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে আনা হয়। রাতে অস্ত্রোপচার করে তার মাথার ভাঙ্গা হাড়ের টুকরাগুলো জোড়া দেওয়া হয়।
হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরোসার্জন মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন অস্ত্রোপচার শেষে রাতে সাংবাদিকদের জানান, ছয় সদস্যের চিকিৎসক দল প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথার জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন।