‘ক্যাসিনো ব্রাদার’ পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৪ অক্টোবর সিআইডিকে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ দিদার হোসেনের আদালত এই নির্দেশ দেন।
জানা যায়, মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ‘ক্যাসিনো ব্রাদার’ পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার নামে ১২১টি ফ্ল্যাট ও ব্যাংকে ১৯ কোটি টাকা পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে দুই ভাইয়ের আরো ছয়টি জমির সন্ধান পাওয়া গেছে।
দেশে বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়ার পাশাপাশি বিদেশেও অর্থ পাচার করেছেন দুই ভাই। পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অনুসন্ধানে বিদেশে অর্থপাচারের তথ্য-প্রমাণ মিলেছে।
গত সোমবার রাজধানীর বংশাল থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসায় এবং তাঁদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সূত্রাপুর ও গেণ্ডারিয়া থানায় তাঁদের নামে ছয়টি মামলা হয়। পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এনু-রুপনের লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা, পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআরের কাগজ এবং এক কেজি সোনা জব্দ করে র্যাব। এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের নামে আরো দুটি মামলা দায়ের করা হয়।