‘দেশের ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ দরিদ্র’

‘দেশের ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ দরিদ্র’

মহাজোট সরকারের গত তিন বছরে দেশের অর্থনীতি গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় দারিদ্রের হার ৩১ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার জাতীয় সংসদে কুমিল্লা-৮ আসনের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সরকারের আমলে বিগত তিন বছরে জিডিপি গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। জাতীয় আয় বেড়ে হয়েছে মাথাপিছু ৮৪৮ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে কমে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।”

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহ ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রয়েছে বলে শেখ হাসিনা জানান।

প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ১ শতাংশ। আর ২০১০-১১ অর্থবছরে তা আরো বেড়ে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হয়।

বিদায়ী ২০১১-১২ অর্থবছরের নয় মাসের হিসাব অনুযায়ী, ৬ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

আয়ের তথ্য জানাতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশে মাথাপিছু আয় ছিল ৬৭৬ মার্কিন ডলার। বিদায়ী ২০১১-১২ অর্থবছরে তা বেড়ে ৮৪৮ ডলার হয়েছে।

“২০০৫ সালে দারিদ্র্যের হার (মাথা গণনা পদ্ধতিতে) ছিল ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ, যা কমে ২০১০ এ ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে।”

এই সময়ে আয় বৈষম্যের আনুপাতও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমেছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

বিশ্ব ব্যাংকের বিচারে, যাদের আয় দৈনিক ১ দশমিক ২৫ ডলারের কম, তাদেরই দরিদ্র বলে বিবেচনা করা হয়।

বাংলাদেশ