ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে রবিউলের না!

ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে রবিউলের না!

২০১০ সালে লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিলো রবিউল ইসলামের। গত দুই বছরে মাত্র তিনটি টেস্ট খেলেছেন। সর্বশেষ খেলেছেন ২০১১ সালে জিম্বাবুয়েতে। তবুও জাতীয় দলের এই পেসার টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে পড়ে থাকতে চান।

** জাতীয় দলে নিয়মিত হতে পারছেন না কেন?

রবিউল: লর্ডসে খেলার ১৪ মাস পর জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্ট খেলেছি। মাঝে কোন টেস্ট সিরিজ হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজে রাখেনি। তখন ‘এ’ দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজে পাঠানো হয়েছিলো। আপাতত জাতীয় দল কোনো টেস্ট খেলছে না। আবার যখন টেস্ট খেলা হবে তখন হয়তো ডাক পেতে পারি।

** ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলে ঢোকার চেষ্টা করছেন না কেন?

রবিউল: ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমি নিজেকে সেভাবে প্রমাণ করতে পারিনি। আমি আসলে বড় দৈর্ঘ্যরে ক্রিকেটার। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে ভালো লাগে। দেশে এবং বিদেশে আমার চারদিনের ম্যাচের পারফরমেন্স ভালো। টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চেষ্টা করবো।

**টেস্ট ক্রিকেটের কোন পর্যায়ে নিজেকে দেখতে চান?

রবিউল: সবারই আশা থাকে ওপরে উঠার। শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার। আমার লক্ষ্য লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা।

**বাংলাদেশ তো খুব বেশি টেস্ট খেলে না?

রবিউল: বোলারদের ক্ষেত্রে এটা কোন সমস্যা না। ফিট থাকলে যখনই খেলা হবে পারফর্ম করা সম্ভব। একজন পেস বোলার হিসেবে আমার কোন সমস্যা হবে না। ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য এফটিপিতে আমাদেরকে বেশি টেস্ট ম্যাচ দেওয়া হয়নি।

** খেলার পাশাপাশি কোন কিছু করেন?

রবিউল: এই মুহূর্তে খেলা ছাড়া কোন কিছু করি না। কোন কিছু করার ইচ্ছেও নেই। পেশাদার ক্রিকেটারকে শুধু খেলা নিয়ে ভাবতে হয়। অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে গেলে মনসংযোগ হারাবে। নেতিবাচক প্রভাব পড়বে খেলায়।

** ক্রিকেট থেকে যে আয় করেন তাতে আপনি খুশি?

রবিউল: দুই বছরের তিনটা টেস্ট খেলেছি। টেস্ট খেলে যে আয় হবে তা দিয়ে চলা সম্ভব না। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে আমরা সবচেয়ে বেশি উপার্জন করি। জাতীয় লিগ থেকেও আয় হয়। সব মিলিয়ে যা আয় হয় তাতে চলে যায়। তবে আরও বেশি উপার্জন করতে পারলে ভালো হতো।

বাংলানিউজ: খেলা ছাড়লে কি করবেন?

** ব্যবসা করবো। পাশাপাশি ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার ইচ্ছে আছে। অনেক ক্রিকেটারই তো এখন বোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কেউ আম্পায়ারিং করছে। তাদের ব্যবসাও আছে। সুযোগ থাকলে আমিও করবো।
** সাতক্ষীরায় ক্রিকেট হয়?

রবিউল: সেরকম কোন খেলা হয় না। গত দুই বছর লিগ হয়নি। রাগ করে আমি নিজে ‘এন্টি ড্রাগ নাইট ক্রিকেট’ চালু করেছিলাম। খুব আলোরণ সৃষ্টি করেছিলো টুর্নামেন্টটি। জেলার বড় বড় মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছি।

** আপনার জেলায় ক্রিকেট একাডেমি আছে?

রবিউল: একটা একাডেমি আছে। এলাকার দু’জন বড় ভাই (তপু ও লালু) মিলে ছোট্ট পরিসরে একাডেমি চলাচ্ছেন। এক সময় ১০-১২ জন মিলে ‘রয়্যাল ক্রিকেট ক্লিনিক’ চলতো। আমি ওই ক্লিনিকে খেলা শিখেছি। পরবর্তীতে ওটা ভেঙ্গে যাওয়ায় পরিসর ছোট হয়ে এসেছে।

** আপনি ক্রিকেট একাডেমি করবেন?

রবিউল: খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর বড় করে একটি একাডেমি করতে চাই। পাইলট ভাই যে রকম করেছেন। স্পন্সর পেলে একাডেমি করতে কোন সমস্যা হবে না।

** ক্রিকেটার না হলে কি করতেন?

রবিউল: ব্যবসা করতাম। বাবা ব্যবসা করেন। বাবার সঙ্গে ব্যবসায় লেগে যেতাম।

খেলাধূলা