সিরিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে স্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে আর যাইহোক এ যুদ্ধে জয়ী হতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে নতুন মন্ত্রিসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন প্রেসিডেন্ট আসাদ।
সিরিয়ার ভেতরে ও বাইরে তীব্র বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা প্রেসিডেন্ট আসাদের এমন স্বীকারোক্তি তুলাদণ্ডের ওপর অবস্থান নির্দেশ করছে বলে বিশ্লেষকদের মত।
বিদ্রোহী সেনাদের সংগঠন ফ্রি সিরিয়ান আর্মিসহ অন্যান্য বিরোধী গ্রুপগুলোর সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা অব্যাহতভাবে বেড়ে যাওয়া, পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি, সম্প্রতি তুরস্কের যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করা নিয়ে নতুন করে সৃষ্ট দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতি- সব মিলিয়ে চাপের মুখে আছে প্রেসিডেন্ট আসাদের সরকার।
মঙ্গলবার গঠিত নতুন মন্ত্রিসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের উদ্দেশে আসাদ বলেন, ‘আমরা যেহেতু যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি তাই আমাদের সব প্রচেষ্টা যুদ্ধজয়ের দিকেই ধাবিত হবে।’
সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্টকে উৎখাতের পক্ষে অবস্থান নেওয়া রাষ্ট্রগুলোর সমালোচনা করে আসাদ বলেন, ‘পশ্চিম শুধু নিতেই জানে, কখনো কিছু দেয় না। আর প্রতিটি পদক্ষেপেই তারা সেটা প্রমাণ করেছে।’
অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে আসাদ বলেন, ‘আমরা সব রাষ্ট্রের সাথেই ভাল সম্পর্ক রাখতে চাই। তবে কোথায় আমাদের স্বার্থ রক্ষিত হবে সেটাও আমাদের অবশ্যই বুঝে নিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজধানী দামেস্কের শহরতলীতে কাদসায়া ও আল হামায় সিরীয় আর্মির বিশেষ বাহিনী রিপাবলিকান আর্মি ঘাঁটির কাছাকাছি স্থানে এক ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সিরীয় মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, রিপাবলিকান আর্মি ঘাঁটির কাছে এমন হামলার ঘটনা আসলে বিদ্রোহীদের শক্তিকেই প্রমাণ করেছে। সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন বিদ্রোহীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তারা।
এছাড়া এদিন সিরিয়াজুড়ে সংঘটিত সহিংসতায় ৩০ জন বেসামরিক নাগরিকসহ অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। তবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি কোনো পক্ষই।