দেশে আরো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের বৈঠকে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলে সূত্র জানায়। তবে, সব ধরনের নাশকতা মোকাবিলায় সরকার সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি বৈঠকে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ১৪ দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের বোমাবাজি অগ্নি সংযোগের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জোটের জড়িত থাকার অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ওইদিন সরকার সতর্ক ও প্রস্তুত ছিলো বলেই তারা বড় ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা ঘটাতে পারেনি। তবে, আগামীতে তারা এ ধরনের কর্মকা- ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে। সরকার এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
যেকোন মূল্যে তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে। অপশক্তিকে মোকাবিলা করা সরকারের একার দায়িত্ব নয়, একার পক্ষে সম্ভবও নয়। এজন্য সরকারের পাশাপাশি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তি ও দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামাতে হবে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, আমি ভাবতেও পারেনি বিরোধী দলীয় নেত্রী এভাবে সরাসরি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে মাঠে নামবেন। তিনি (খালেদা জিয়া) বুঝে ফেলেছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। এ কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল এবং খালেদা জিয়া নিজের ও পুত্রদের মামলা থেকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
জনসমর্থন না থাকায় বিরোধী দল দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
সূত্র জানায়, বৈঠকে ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরানি¦ত করতে সরকারের প্রতি দাবি জানানোর পাশাপাশি বিচার শেষ না হাওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
বৈঠকে সরকারের সফলতাগুলো দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য প্রধানমন্ত্রী জোটের শরিকদের প্রতি আহ্বান জানান বলে জানা গেছে।