১৯১ কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

১৯১ কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ১৯১ জন নির্বাহী প্রকৌশলী ও তদুর্ধ সম্পন্ন কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব যোগাযোগ সচিবের কাছে চেয়ে ৬ মাসেও পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।বর্তমানে সেই ১৯১ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজের কাছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও সওজ বিভাগের অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন।

এসব কর্মকর্তার দেওয়া নিজ নিজ সম্পদের হিসাব বিবরণীর ফটোকপি চেয়ে গত ডিসেম্বরে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়েছিল দুদক। একাধিকবার তাগিদ দিলেও সাড়া না পাওয়ায় দুদক স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।

দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কমিশনের অনুসন্ধান কমিটি যাদের সম্পদ বিবরণীর হিসাব চেয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সওজের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শাহাবউদ্দিনসহ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ১৫ জন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ৪৮জন এবং নির্বাহী প্রকৌশলী ১২৭জন।

দুদক ও সওজ সূত্রে জানা যায়, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে এসব কর্মকর্তাকে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে তারা ২০০৮ সালে নিজ নিজ সম্পদ বিবরণী তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছিলেন। মূলত সেই সব হিসাব বিবরণীর ফটোকপি চেয়েছিলেন দুদক। কিন্তু সম্পদ বিবরনীর ফটোকপি এ পর্যন্ত পায়নি দুদক।

বর্তমানে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধানী দলের সদস্যরা সওজ কর্মকর্তাদের নামে-বেনামে বাড়ি, গাড়ি ও সম্পদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য গোপনে ও প্রকাশ্যে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দুদকের অনুসন্ধানে প্রায় অর্ধ শতাধিকের বেশি কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদের হিসাব পেয়েছে অনুসন্ধান কমিটি। দুদকের অনুসন্ধানে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের নামে প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিয়ে মামলার প্রস্তুতি নেবে দুদক।

সওজের দুর্নীতি অনুসন্ধানের জন্য গত নভেম্বরে দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ অনুসন্ধানী দল গঠন করে দুদক। দলটি এরই মধ্যে সওজ কর্মকর্তাদের নামে-বেনামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির অস্তিত্ব খুঁজতে বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে সওজের বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একাধিক ঠিকাদার, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

 

বাংলাদেশ