পরিবেশ ও বন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ১ হাজার ২৫ কোটি ৬০ লাখ ৩৬ হাজার ৯’শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৭টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। আরো প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপির অনুপস্থিত এবিএম আশরাফ উদ্দীন নিজানের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “এ সরকারের সময়ে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠনসহ দেশে সার্বিক পরিবেশ রক্ষায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ পর্যন্ত এই ফান্ড থেকে ১ হাজার ২৫ কোটি ৬০ লাখ ৩৬ হাজার ৯’শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৭টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে এবং আরো প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।”
ফরিদা আক্তারেরর প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী বলেন, “বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিবেশ সংরক্ষণকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ কে যুগোপযোগী করার উদ্যেগ নেয়। পাহাড় কাটা, জলাশয় ভরাট ও জাহাজ ভাঙ্গাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে পরিবেশ আইনে অন্তর্ভুক্ত করে এবং পরিবেশ দূষণের বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি আরো কঠোর করে দেশে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থে বাংলাদশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) জারি করে। সংশোধিত আইনে জনসাধারণকে মামলা করার ক্ষমতা প্রদান করা হয় যা আগের আইনে ছিল না।”
নিলোফার চৌধুরী মনির প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী বলেন, “সরকার দায়িত্ব নিয়ে দেশব্যাপী সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক বনায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এর আওতায় যে গাছ লাগানো হয় তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থাণীয় জনগণকে বাগানের উপকারভোগী হিসেবে সম্পৃক্ত করা হয়। সামাজিক বনায়নের আবর্তকাল উত্তীর্ণ গাছ আহরণ করে প্রায় ৩৯৫ কোটি টাকা বিক্রয় করা হয়েছে। উপকারভোগীদের মধ্যে বিক্রিত গাছের লভ্যাংশের প্রায় একশ’ ৭৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।”
এ অর্থ পেয়ে ১ লাখ ২ হাজার ৮৩৪ জন উপকারভোগী স্বাবলম্বী হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, “সরকারের গতিশীল এও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম বন সম্প্রসারণের মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণের একটি পরীক্ষিত হাতিয়ার হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে সামাজিক বনায়নের আওতায় লাগানো গাছের চারা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে।”