গরু বিক্রি করে দিতে হবে, পাশে দাঁড়ালেন সোনু

গরু বিক্রি করে দিতে হবে, পাশে দাঁড়ালেন সোনু

লকডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ। এক্ষেত্রে অনেক স্কুলেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনলাইনেই ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নিতে দেখা যাচ্ছে। তবে এতে সমস্যায় পড়েছেন অনেক গরিব মানুষ। যাঁদের অনলাইনে ক্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় স্মার্ট ফোন কেনার পয়সা নেই। এমনই এক দুঃস্থ ছাত্রীর পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন সোনু।

সম্প্রতি, ‘ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয় এক গরিব দুধ বিক্রেতার গরু বিক্রি করে দেওয়ার খবর। যে প্রতিবেদনে লেখা হয় কুলদীপ কুমার, যিনি হিমাচল প্রদেশের জ্বালামুখী গ্রামের বাসিন্দা। যাঁর দুই ছেলে মেয়ে অনু ও বংশ, যতাক্রমে চতুর্থ ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সম্প্রতি তাঁদের স্কুলে অনলাইন ক্লাস চালু হয়েছে।

অথচ, কুলদীপের বাড়িতে কোনও স্মার্ট ফোন নেই, যাতে তাঁর ছেলেমেয়েরা অনলাইন ক্লাস করতে পারে। প্রথমে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য কুলদীপ প্রাইভেট ব্যাঙ্ক ও যাঁরা ধার দেন সেই সমস্ত ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে টাকা ধার না পেয়ে, অগত্যা কুলদীপ তাঁর রোজগারের একমাত্র অবলম্বন বাড়ির গরুটি বিক্রি করে দেন। তাও মাত্র ৬ হাজার টাকায়। যাতে সেই টাকায় স্মার্টফোন কেনা যায়, আর তাঁর ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে পারে।

আর এই খবরটি চোখ এড়ায় নি সোনু সুদের। আর এক্ষেত্রেও ওই গরিব দুধ বিক্রেতার কাছে ত্রাতা হয়ে পৌঁছে যেতে চলেছেন সোনু। তিনি টুইটে লেখেন, এবার এই ব্যক্তিকে তাঁর গরু ফিরিয়ে দেওয়া যাক, কেউ কি ওনার ঠিকানা আমায় দিতে পারবেন? পরে আরও একটি টুইটে যে সাংবাদিক খবরটি প্রকাশ করেন, তাঁর কাছে ওই গরিব দুধবিক্রেতার নম্বর চেয়ে টুইট করেন সোনু।

লকডাউনে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে রাতারাতি সকলের কাছে ‘সুপার হিরো’ হয়ে উঠেছেন সোনু সুদ। যখনই কারোর সমস্যায় পড়ার খবর পেয়েছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন সোনু সুদই দেশের অনেক মানুষের কাছে ত্রাতা।

সম্প্রতি কিছু নেটিজেন মজা করে বলেছেন, কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন তৈরির দায়িত্বও সোনু সুদকে দেওয়া হোক। আর ভক্তদের এই মজা করে করা টুইটের জবাব দিতেই ভোলেননি সোনু, লিখেছেন, এতবড় দায়িত্ব দিওনা।” তবে তাঁর প্রতি মানুষের ভালোবাসায় আপ্লুত অভিনেতা।

বিনোদন শীর্ষ খবর