বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ট্রানজিটের নতুন দিগন্ত শুরু হয়েছে। প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার পণ্য নিয়েছে ভারত। পণ্যের মধ্যে রয়েছে ডাল ও রড। এর আগে আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহার করে পণ্য নেয় ভারত।
এভাবে পণ্য পরিবহনের সুযোগ দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ট্রানজিটের নতুন এ পথের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী ওপারে উপস্থিত থেকে পণ্য গ্রহণ করেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পণ্যবোঝাই চারটি টেইলর বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছে। ভারতীয় জাহাজ ‘এমভি সেঁজুতি’ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ওই চারটি টেইলর নিয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ১৪ জুলাই জাহাজ ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। ভারতের জাহাজ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মনসুক মান্ধাভিয়া ওই দিন এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পতাকা নাড়িয়ে জাহাজের যাত্রা উদ্বোধন করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাহাজে দুটি কনটেইনারে ৫৩.২৫ মেট্রিক টন রড ও আলাদা দুটি কনটেইনারে ৪৯.৮৩ মেট্রিক টন ডাল আনা হয়। পণ্য পরিবহনে সাত ধরনের ফি বেঁধে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, যা পণ্য পরিবহনকারী সংস্থা পরিশোধ করবে।
বাংলাদেশের ম্যাংগু লাইন নামে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারত খেকে পণ্যটি পাঠাচ্ছে ডার্সেল নামে একটি প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস করবে কেজি শিংপিং ইন্টারন্যাশনাল।