উন্নয়ন প্রকল্পের কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে চাকরিচ্যুত করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার অনলাইন সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কোনো রকম অনিয়ম বা দুর্নীতি করলে বা অনিয়মের উদ্দেশ্যে অসামঞ্জস্যপূর্ণ দাম ধরলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, প্রয়োজনে চাকরিচ্যুত করা হবে। ’
তিনি বলেন, কৃষি যন্ত্রপাতি, সার, বীজ ও অন্যান্য জিনিসসহ প্রকল্পের প্রত্যেকটা জিনিস কেনার সময় ই-জিপির মাধ্যমে উন্মুক্ত দরপত্রে কেনা হবে। ঠিকাদারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে কেনার সুযোগ নেই। তাই কেউ যদি মনে করে থাকেন বেশি দাম লেখা আছে বা সে রকম সুযোগ আছে সেটাকে ব্যবহার করে কোনো দুর্নীতি- অনিয়ম করবেন, সেটি কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। কোনোরকম অনিয়ম বা দুর্নীতি হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবো। প্রয়োজনে চাকরিচ্যুত করা হবে। আমি আবারও হুঁশিয়ার করছি, কেউ যদি কেনাকাটায় অনিয়ম করতে চান, দুর্নীতি করতে চান, তাহলে চরম মূল্য দিতে হবে। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে, স্বচ্ছতার সঙ্গে ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় অনলাইন সভায় সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের সংশোধিত এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় মোট ৭৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন ছিল। এসব প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা, ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৯৪ শতাংশ। করোনা উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে শতভাগ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব না হলেও জাতীয় গড় অগ্রগতির (৮০.২৮ শতাংশ) চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি বেশি হয়েছে।