ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৯৩ জনের প্রাণ গেছে করোনায়, যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। এই নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৮২ হাজার ৮৯০ জনে ঠেকেছে। শনাক্ত হয়েছে আরও ৬৫ হাজারের বেশি। আক্রান্তের নিরিখে এটিও সর্বোচ্চ। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লাখ ৩১ হাজার ৮৭১ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে সুস্থ হয়েছেন অর্ধেকের বেশি রোগী।
বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
শুধু ব্রাজিলই নয়, গোটা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোও করোনার ভয়াবহতা দেখছে। তবে, পূর্বে তুলনায় দাপট কিছুটা কমতে শুরু করেছে। করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে, এমন অবস্থার মধ্যদিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিার মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্র ব্রাজিল। যা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যার ভয়াবহতার শিকার পেরু, চিলি ও কলম্বিয়ার মতো দেশগুলো। যার প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত দুই লাখ ছাড়িয়েছে।