আগামী পয়লা আগস্ট দেশে ঈদ-উল-আযহা উদযাপন হবে। এজন্য এ বছর গাবতলীর কেন্দ্রীয় পশুর হাট ও অন্যান্য স্থানে ৫টি অস্থায়ী পশুর হাটসহ মোট ছয়টি পশুর হাট বসানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)।
ডিএনসিসি জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কথা বিবেচনা করে এ বৎসর পশু হাট সীমিত করা হয়েছে। এ বছর গাবতলীর কেন্দ্রীয় পশুর হাট ও অন্যান্য স্থানে ৫টি অস্থায়ী পশুর হাটসহ মোট ছয়টি পশুর হাট বসানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের পশুর হাটগুলো হলো-
১. গাবতলী পশুর হাট (স্থায়ী),
২. উত্তরা ১৭ নং সেক্টরস্থিত বৃন্দাবন হতে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা (অস্থায়ী)।
৩. কাওলা শিয়াল ডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা (অস্থায়ী)।
৪. ৪৩ নং ওয়ার্ডের পূর্বাচল ব্রীজ সংলগ্ন মন্তল ডুমনী বাজার মূখী রাস্তার উভয় পার্শ্বের খালি জায়গা (অস্থায়ী)।
৫. ভাটারা (সাইদ নগর) পশুর হাট ওয়ার্ড নং-৪০ (অস্থায়ী)।
৬. উত্তরখান মৈনারটেক হাউজিং প্রকল্পের খালি জায়গা (অস্থায়ী)।
এবারের ঈদে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার ঈদের দিন প্রায় ১০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে, যা দৈনন্দিন বর্জ্য হতে প্রায় তিনগুণ। এই বিপুল পরিমান বর্জ্য যাতে যথাসময়ে দ্রুত অপসারণ করা যায় এবং জনগণ যাতে স্বস্থির সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য ঢাকা উত্তর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এজন্য সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ডিএনসিসি।
এবার ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে ৫৪টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য ২৫৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য আগামী দুই জুম্মায় খুতবার সময় জনসচেতনতামূলক বাণি পাঠ করে শুনানোর জন্য প্রত্যেক মসজিদের ইমামগণকে মাননীয় মেয়রের পক্ষ থেকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া মাইকিং, লিফলেট, এলইডি ও টিভি স্ক্রলের মাধ্যমে যত্রতত্র পশু জবাই করা থেকে বিরত ও পরিবেশ সম্মতভাবে নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই এবং বর্জ্যবাহী ব্যাগে বর্জ্য সংরক্ষণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।