আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশক্রমে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে ও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আলোচনাসহ মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
একই সাথে যথাযথভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সারাদেশে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে চলমান বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি ও ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি নির্ধারণে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ যৌথ সভা থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য দেশবাসী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংযুক্ত হন।
সভায় উপস্থিত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আগস্ট মাসব্যাপী নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষ থেকে গৃহীত ও প্রস্তাবিত কর্মসূচি তুলে ধরেন।
এ সময়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। আগস্ট মাসে আমাদের অনেকগুলো কর্মসূচি রয়েছে। ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। এছাড়া ৫ আগস্ট জাতির পিতার জেষ্ঠ্য পুত্র শেখ কামালের জন্মদিন, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মদিন, ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালন করে আওয়ামী লীগ।
১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড এবং ২১ আগস্টের গেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পৃথিবীতে যত রাজনৈতিক হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে, নির্মমতা ও ষড়যন্ত্রের দিক থেকে ১৫ আগস্টের ঘটনা অন্য সকল হত্যাকান্ডকে পিছনে ফেলেছে। এই হত্যাকান্ড থেকে বাদ পড়েনি অবুঝ শিশু থেকে অবলা ও অন্তসত্ত্বা নারীও। ১৫ আগস্টের প্রাইম টার্গেট ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর ২১ আগস্টের হত্যাকান্ডের প্রাইম টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আজও ষড়যন্ত্রকারীরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যার নীলনকশা ও ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সৃষ্ট সংকট উত্তরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জনগণের জীবনের এবং জীবিকা রক্ষার জন্য মানুষের কল্যাণে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আবেগের দিন। শোক থেকে শক্তি সঞ্চয়ের দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশমাতৃকার কল্যাণে আত্মনিবেদনের শপথে আবদ্ধ হওয়ার দিন।
এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, তথ্যমন্ত্রী ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
এছাড়াও সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনিসুর রহমান আনিস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।