চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হয়েও চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করেনি, বরং ব্যক্তি স্বার্থে চলচ্চিত্রকে ব্যবহার করেছেন জায়েদ খান। তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন মিলে জায়েদ খানকে ‘বয়কট’ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) এফডিসিতে চলচ্চিত্রের সবগুলো সংগঠনের প্রতিনিধিরা জড়ো হয়ে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেন যে, জায়েদ খান চলচ্চিত্র থেকে বয়কট। তাকে নিয়ে কেউ কাজ করবে না।
এর প্রতিবাদে রবিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। প্রযোজক সমিতির নেতৃত্বে ঘোষিত বয়কটের সিদ্ধান্তকে শিল্পী সমিতিকে ভাঙনের চেষ্টা বলে অবহিত করেছেন। তবে এই অপচেষ্টা সফল হবে না বলে জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সহ সভাপতি মনোয়ার হোসেন ডিপজল। সংবাদ সম্মেলনে ডিপজল বলেন, ‘আমি ডিপজল বাঁইচা থাকতে শিল্পী সমিতিরে টোকা দিবো পৃথিবীতে এমন কেউ নাই।’
মিশা ও জায়েদ শিল্পী সমিতির জন্যই কাজ করেছেন উল্লেখ করে ডিপজল বলেন, ‘অরা (মিশা-জায়েদ) তো কোনো দলাদলি করে নাই, অরা তো না জাতীয় পার্টি না, বিএনপি, না প্রযোজক সমিতি না শিল্পী সমিতি- অরা তো কাজ করছে শিল্পীদের নিয়া। অরা কোথায় আছে কী করছে না করছে, সেসব দেখছে। শিল্পীরা কী খাচ্ছে না খাচ্ছে, অদের দায়িত্ব এইটা। অরা পুরণ করছে আমার মনে হয়। কী করছে?’ এসময় সকলে সমস্বরে বলে ওঠেন করছে।
ডিপজল বলেন, ‘আগামীতেও করবে। এই যে সামনে একটা ঈদ। এই ঈদে লড়চড়া কইরা সরায়ে দিলো যাতে আপনাদের পাশে থাকতে না পারে। সরকারের থাক থেকে শিল্পীদের জন্য টাকা আসবে। মোটামুটি ৯৮ পার্সেন্ট কমপ্লিট। এইটারে একটু খোঁচাখুঁচি কইরা বন্ধ কইরা দেওয়ার চেষ্টা করলো আর কি।’
চাচ্চু খ্যাত এই অভিনেতা বলেন, আমি সুস্থ থাকলে কোনো শিল্পী না খেয়ে থাকবে না। অনন্ত জলিল ৫ লাখ টাকা দিলেন। কাঞ্চন ভাই দিলো। এরপর যা লাগবো আমি তো আছি। যখন যা লাগবো আমি তো দিমুই। কোনো চিন্তা নাই। আমি ডিপজল বাঁইচা থাকতে শিল্পী সমিতিরে টোকা দিবো পৃথিবীতে এমন কেউ নাই।
সংবাদ সম্মেলনে কার্যনির্বাহী সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ শিল্পীরা।