করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম এবং করোনা টেস্ট জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার জেকেজি চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, দু’জনের অপরাধ অভিন্ন বলে তাদের মুখোমুখি করা হয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা একে অপরকে চেনেন না বলে দাবি করেন। যদিও ডিবি বলছে, তারা যে পূর্ব পরিচিত সেই তথ্য ডিবির হাতে রয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন জানিয়েছেন, গত শনিবার সাবরিনা ও সাহেদকে কিছুক্ষণের জন্য মুখোমুখি করা হয়েছিল। তখন দু’জন দু’জনকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন। তবে তদন্ত সংস্থার কাছে তথ্য আছে- তারা পূর্ব পরিচিত।
করোনার ভুয়া সনদ বিক্রির মামলায় পুলিশ গত ২৩ জুন জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। ১২ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয় ডা. সাবরিনাকে। বর্তমানে মামলাটি ডিবির তেজগাঁও বিভাগ তদন্ত করছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগের ডিসি গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, চার দিনের রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রোববার আরিফকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর গা-ঢাকা দেওয়া সাহেদকে গত বুধবার সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে একটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, ধরা পড়ার মুহূর্তে সাহেদ নিজেকে একজন গণমান্য ব্যক্তি বলে দাবি করেছিলেন। গ্রেপ্তারের পরদিন মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ সাহেদকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায়। অন্যদিকে সাহেদের আইনজীবী তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে সাহেদকে ডিবি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে ডিবি হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।