চেক জালিয়াতির অভিযোগে বাদশাহ বুলবুলের আইনজীবী চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এবি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী বাদশাহ বুলবুলের আইনজীবী অপু বিশ্বাসকে ৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। আজ রবিবার রাজধানীর জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. মুনজুর আলমের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে অপু বিশ্বাসের সুসম্পর্ক ছিল। সেই সুবাধে প্লট ক্রয়ের কিস্তি পরিশোধ, ব্যক্তিগত গাড়ি ও ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য অপু ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঋণ নেন। গত ৭ জুলাই সে ঋণ পরিশোধের অংশ হিসেবে ৫ লাখ টাকার একটি চেক দিলেও অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেটি ফেরত দিয়েছে। বিষয়টি অপুকে জানানো হলে তিনি কালক্ষেপণ করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
লিগ্যাল নোটিশে অপুকে ৩০ দিনের মধ্যে সব অর্থ পরিশোধের জন্য বলা হয়েছে। তা না করা হলে অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে এসব অভিযোগ প্রত্যাখান করে অপু বিশ্বাস বলেন, ঘটনা আসলে এরকম নয়। শাকিবের (অপুর সাবেক স্বামী চিত্রনায়ক শাকিব খান) সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিছুটা অর্থকষ্টের মুখে পড়েছিলাম। তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নতুন কিছু করার। তাই বগুড়ায় আমাদের পারিবারিক কিছু সম্পদ বিক্রি করে এ বাদশাহ বুলবুলের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যবসা শুরু করি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে তার আচার-আচরণে আমার সন্দেহ হয়। এমনকি তিনি অশালীন আচরণও শুরু করেন। তাই সিদ্ধান্ত নিই তার সঙ্গে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলব। সেখান থেকেই এ ঝামেলার সূত্রপাত।
অপু বিশ্বাস বলেন, ওই সময় ব্যবসায় আমি ঠিকমতো সময় দিতে পারতাম না। তাই বুলবুল সাহেব আমাকে অনুরোধ করে আমি যেন ২/৩টি চেকবইয়ে স্বাক্ষর করে রাখি ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক যে কোনো কাজের জন্য। সে চেকগুলো দিয়ে এ ঘটনাটি সাজানো হয়েছে। এছাড়া এ চেক ইস্যু নিয়ে ওই সময় আমি গুলশান থানায় জিডি করেও রেখেছিলাম।