করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার নামে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে নিয়ে গভীর রাতে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকার মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযানে মদ, ফেনসিডিল ও পিস্তল উদ্ধার এবং একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় দুইটি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মাহবুব আলম জানান, গতকাল মধ্যরাতে সাহেদকে নিয়ে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপদ রোডের ৬২ নম্বর বাসার সামনে অভিযান চালান ডিবি সদস্যরা। সেখানে সাহেদের নিজস্ব সাদা প্রাইভেট কার ছিল। প্রাইভেট কারটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ১০ বোতল ফেনসিডিল ও একটি পিস্তল উদ্ধার করে। একটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। এরপরই অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।এই থানায় এ পর্যন্ত সাহেদের বিরুদ্ধে পাঁচটি প্রতারণাসহ মোট সাতটি মামলা হলো।
গত বুধবার (১৫ জুলাই) সকালে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর বেইলি ব্রিজের পাশ থেকে বোরকা পরা অবস্থায় সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এর আগে করোনা রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত সোমবার (৬ জুলাই) রাতে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাব। এতে করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মেলে। অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায় অভিযানে।
পরদিন মঙ্গলবার রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।