জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ও বরখাস্ত কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী তার ফেসভ্যালু বা চিকিৎসক পরিচিতি ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ বাগিয়ে আনতো জেকেজির নামে। এই কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, ‘ডা. সাবরিনা তার ফেসভেল্যুটাকে ক্যাপিটালাইজড করেছে। চিকিৎসক হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন জায়গায় যে তার পরিচিতি রয়েছে সেটা দিয়েই সে প্রতারণা করেছে। করোনার এই সময়ে সে একটি প্রজেক্ট তৈরি করেছে। তারা যে প্রজেক্ট অনুযায়ী করোনাভাইরাস আক্রান্তদের কাছ থেকে যেভাবে নমুনা সংগ্রহ ও সেবা দেওয়ার কথা ছিল, তারা সেভাবে দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই তদন্তের প্রথম দিকে রয়েছে, আমরা তদন্ত করে যদি ক্রিমিনাল অফেন্স পাই সে বিষয়ে ক্রিমিনাল রেকর্ডে নিয়ে আসবো। আর যেগুলো বিভাগীয় অপরাধ ও অনিয়ম সেগুলো আমরা লিখিত অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ে জানাবো।’
পুলিশ কর্মকর্তা বাতেন বলেন, ‘সাবরিনা নিশ্চই কোনো না কোনো জায়গায় সহযোগিতা পেয়েছে। আমাদের তদন্তের জন্য যারা সংশ্লিষ্ট তাদের অবশ্যই আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।’ নানা প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘সরকারি চাকরি করে এমন কোনো কর্মকর্তা যদি তার দায়িত্বের ব্যতায় কিছু করে করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে তার সংশ্লিষ্ট দফতর ব্যবস্থা নিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তার বিষয়ে যে তথ্য পেয়েছি সেটি স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ে লিখবো। তারা দেখবেন এটা ক্রিমিনাল অফেন্স নাকি বিভাগীয় অফেন্স। তারা যদি ক্রিমিনাল কোনো অফেন্সের ব্যবস্থার জন্য আমাদের কাছে আসেন, অবশ্যই আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।’